কপিরাইট সচেতনতায় দেশের সর্বপ্রথম প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন সংগীতশিল্পী, সুরকার, সংগীতপরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কপিরাইট গবেষক ও বিশ্লেষক ফাহিম ফয়সাল। ‘কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করুন, মেধাসম্পদ সংরক্ষণ করুন’ এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে। প্রামাণ্যচিত্রটি প্রকশের পর দেশ-বিদেশ থেকে বেশ সাড়াও পাচ্ছেন বলে জানান এই শিল্পী।
এই প্রসঙ্গে ফাহিম ফয়সাল জানান, সৃজনশীল অঙ্গনের মানুষজন বিশেষ করে সংগীত সংশ্লিষ্টরা কপিরাইটের বিষয়ে এখন বেশ সচেতন হচ্ছেন। এটি খুবই আশার দিক। আমি আসলে কাজ করছি পুরো ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে। কারণ, ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন রয়েছে শিল্পীরা আর তেমনই রয়েছেন প্রযোজকরা। সকলেই সকলের পরিপূরক। উভয়পক্ষই যখন সচেতন হবেন, আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হবেন, তখন এমনিতেই ইন্ডাস্ট্রি উন্নতির দিকে যেতে থাকবে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একটি জাতীর রুচিবোধ বা কৃষ্টিকালচার কেমন তা বুঝা যায় সে জাতির সৃজনশীল কর্মগুলো দেখেই। ইন্ডাস্ট্রি উন্নতির চাইলে এককভাবে কিছু করা সম্ভব না। সকলেরই অংশগ্রহণ লাগবে। কপিরাইট ও সকলের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও আমাদের সকলকেই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
২ পর্বের এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে সংগীতকর্ম, নাট্যকর্ম, চলচ্চিত্রকর্ম, সাহিত্যকর্ম, ফটোগ্রাফ, স্কেচ, কম্পিউটার-সফটওয়্যারকর্ম, কম্পিউটার গেইম, ডাটাবেইজ, ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মসহ সৃজনশীল অঙ্গনের বিভিন্ন শাখায় চলমান দীর্ঘদিনের বহু সমস্যা ও মতানৈক্যের সমাধান এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ থেকে দেখা যাবে।
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করার বিষয়ে শিল্পী আরও বলেন, সৃজনশীল অঙ্গনের প্রত্যেকেরই উচিত যার যার সৃজনশীল কর্মটির কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করে রাখা। কারণ, প্রতিটি সৃজনশীল কর্মই একেকটি সম্পদ। আর সম্পদের যদি কোন দলিল না থাকে তবে তা সবসময়ই ঝুঁকিতে থাকে। কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের গুরুত্ব হচ্ছে- সৃজনশীল ব্যক্তি তার সৃজিত কর্মটিকে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি বেদখল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চাইলে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করার কোন বিকল্প নেই। এতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় জায়গাতেই প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে। এছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য রয়্যালিটি-এর সুবিধা ভোগ করতে চাইলে তাকে অবশ্যই কর্মটির কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এই বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য করলে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কপিরাইট নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের গবেষণা ও অভিজ্ঞতার আলোকে এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণে আমাকে সার্বিকভাবে সহায়তা ও পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস মহোদয়। আমি বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ, উনাদের সহায়তা ছাড়া এটি নির্মাণ করা প্রায় অসম্ভব ছিলো। আমার বিশ্বাস, ২ পর্বের এই প্রামাণ্যচিত্রটি দেখে সৃজনশীল অঙ্গনের সকলেই কপিরাইট বিষয়ে সচেতনতা লাভের পাশাপাশি নিজস্ব সৃজনশীল কর্মের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করতে উদ্বুদ্ধ হবেন। যে কেউ চাইলে প্রামাণ্যচিত্রটি দেখে নিজের সৃজনশীল সকল কর্মের কপিরাইট রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত দিকনির্দেশনাও পাবেন।
গান ও অন্যান্য ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ফাহিম ফয়সাল জানান, তিনি এখন নিয়মিত নতুন নতুন সূফি গান প্রকাশ করছেন। এছাড়া নিজের গানের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও গান নির্মাণ করছেন, সঙ্গীতায়োজন করছেন। যেগেুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করবেন শিল্পীর ইউটিউব চ্যানেল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেলে।
বর্তমানে গানের পাশাপাশি ফাহিম ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, লাইভ কনসার্ট এবং কপিরাইট সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম ও গবেষণা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কপিরাইট একটি জটিল বিষয়। তাই এর বাইরেও কপিরাইট সংক্রান্ত অনেক বিষয় আছে। সেগুলোর পরামর্শও সহযোগিতা চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.fahimfaisalofficial.com) কপিরাইট সংক্রান্ত নানা আর্টিক্যাল প্রকাশ করি। সময় পেলে পড়বেন। কোন পরামর্শ প্রয়োজন হলে এই মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন https://insightcommunication.net/online-consultation/
আশাকরি আপনাদেরকে সুপরামর্শ দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ভালোবাসা।
©️ফাহিম ফয়সাল
সংগীতশিল্পী, সংগীতপরিচালক, মাল্টিমিডিয়া স্পেশালিস্ট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আইটি প্রফেশনাল, কপিরাইট-ট্রেডমার্ক গবেষক-বিশ্লেষক-পরামর্শক।
www.fahimfaisalofficial.com